ফরমালিনের অপব্যবহার রোধে আইন ও বিধি-বিধান সমূহ

  • মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ধারা-৫ এ আছে ‘‘কোন ব্যক্তি পঁচা, অস্বাস্থ্যকর বা রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু দ্বারা দূষিত কোন মৎস্য বা মৎস্যপণ্য মানুষের ভোগের জন্য রপ্তানি করিতে বা রপ্তানির জন্য বিক্রয় করিতে অথবা রপ্তানি বা যে কোন ব্যবসায়ের জন্য সংরক্ষণ করিতে পারিবে না।’’
  • অধ্যাদেশের ধারা-১০-এ আছে ‘‘কোন ব্যক্তি ধারা ৫-এর বিধানবলী লঙ্ঘন করিলে, তিনি অনধিক ৬ মাস কারাদন্ডে বা অনধিক ৫০০০ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।’’
  • মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ১৯৯৭ (২০০৮ সালে সংশোধিত) এর বিধি-৪-এর উপ-বিধি-৩-এ আছে ‘‘কোন ব্যক্তি অস্বাস্থ্যকর, পচাঁ অথবা দূষিত মৎস্য প্রক্রিয়াজাত অথবা রপ্তানি করিবে না এবং উক্ত মৎস্য প্রক্রিয়াজাত কিংবা রপ্তানির উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তির নিকট বা অভ্যন্তরীন বাজারে প্রেরণ করিবে না।’’
  • বিধি-২ এর গ- অনুচ্ছেদে ‘‘অস্বাস্থ্যকর মাছ’’ অর্থ যে মাছে জনস্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর জীবাণু অথবা কোন বিষাক্ত দ্রব্য অথবা মানুষের রুচি বিগর্হিত কোন বস্ত্ত রহিয়াছে এমন মাছ। ছ-অনুচ্ছেদে ‘‘দূষিত মাছ’’ অর্থ এমন কোন মাছ যাহা মানুষের খাবার অনুপযোগি এবং স্বাস্থ্যহানিকর।
  • বিধি-৪ এর উপ-বিধি-৪ এ আছে ‘‘কোন ব্যক্তি রপ্তানির উদ্দেশ্যে বা স্থানীয় বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে বা অসৎ বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে মৎস্যের মধ্যে কোন ভেজাল, ক্ষতিকর দ্রব্য বা তফসিল ১৭-তে গ্রুপ ‘এ’ এবং গ্রুপ ‘বি‘ তে বর্ণিত রাসায়নিক দ্রব্য বা ঔষধ প্রবেশ করাইবে না বা মানুষের খাবার অযোগ্য করিয়া তোলে এমন অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় প্রক্রিয়াজাত করিবে না।’’
  • ৫ জুন, ২০০৮ এ সংশোধিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিধি-৪-এর উপ-বিধি-৫-এ আছে ‘‘যদি কোন ব্যক্তি উপ-বিধি (৩) ও (৪) এর বিধান লঙ্ঘন করে, তাহা হইলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা পরিদর্শক উক্ত উপ-বিধিতে উল্লেখিত মৎস্য অকুস্থলে (On the spot) জব্দ করিয়া উক্ত ব্যক্তিকে অনুর্ধ্ব ৫০,০০০/- টাকা জরিমানা করিতে পারিবেন। তবে শর্ত থাকে যে, মৎস্য যদি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয় তাহা হইলে উহা মাটিতে পুতিয়া ফেলিতে হইবে (বিধি-১৩)।’’
  • বিধি-৫-এর উপ-বিধি-৩-এ আছে ‘‘মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ বা অভ্যন্তরীন ও আন্তজার্তিক বাজারে বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে তফসিল-১৬ তে উল্লিখিত ফুড এডিটিভস, প্রিজারভেটিভস্ ও এন্টি-অক্সিডেন্ট ব্যতীত এমন কোন উপাদান বা রাসায়নিক পদার্থ বা পাত্র ব্যবহার করা যাইবে না, যাহা প্রক্রিয়াজাতকৃত মৎস্যের সংস্পর্শে আসিয়া উক্ত মৎস্যের গুণগতমান নষ্ট করিতে বা উহাতে পঁচন ঘটাইতে বা উহাকে দূষিত করিয়া তুলিতে পারে।’’
  • বিধি-৫-এর উপবিধি-৪-এ আছে ‘‘যদি কোন ব্যক্তি উপ-বিধি ২ ও ৩ এর বিধান লঙ্ঘন করে, তাহা হইলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা পরিদর্শক উক্ত ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ৫০,০০০/- টাকা এবং সর্বনিম্ন ২৫,০০০/- টাকা জরিমানা করিতে পারিবেন এবং একইসাথে উক্ত মৎস্যপণ্য বিধি ১৩ অনুসারে বিনষ্ট করিতে পারিবেন।’’
  • বিধি-৫-এর উপবিধি-৯-এ আছে ‘‘কোন ব্যক্তি খাদ্য উপাদানে ব্যবহার উপযোগি নয় এমন কোন জিনিসপত্র, রাসায়নিক পদার্থ বা সরঞ্জামাদি মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিবহন, বিক্রয়, মজুদ বা বাজারজাতকরণ কাজে ব্যবহার করিবেন না।’’
  • বিধি-৫ এর উপ-বিধি-১০-এ আছে ‘‘যদি কোন ব্যক্তি উপ-বিধি-৯ এর বিধান লঙ্ঘন করে, তাহা হইলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা পরিদর্শক উক্ত ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫০,০০০/- টাকা এবং সর্বনিম্ন ১০,০০০/- টাকা পর্যন্ত জরিমানা করিতে পারিবেন বা তাহার প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স সাময়িকভাবে বাতিল করিতে পারিবেন।’’
  • প্রস্তাবিত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০১১ এর বিধি-৪-এর উপবিধি ৪-এ আছে ‘‘কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, অস্বাস্থ্যকর, পঁচা বা দূষিত বা ফরমালিনযুক্ত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য প্রক্রিয়াজাত, রপ্তানি, আমদানি, মজুদ বা অভ্যন্তরীণ বাজারে বাজারজাত করিতে পারিবেন না এবং উক্তরূপ মৎস্য প্রক্রিয়াজাত কিংবা রপ্তানির উদ্দেশ্যে অন্য কোন ব্যক্তির নিকট বা অভ্যন্তরীন বাজারে প্রেরণ, বিক্রয় বা মজুদ করিতে পারিবেন না।’’
  • বিধি ৪-এর উপ-বিধি ৬-এ আছে ‘‘যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উপ-বিধি ৪-এর বিধান লংঘন করে, তাহা হইলে আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্থানীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা কোন পরিদর্শক উক্ত উপ-বিধিতে উল্লিখিত মৎস্য বা মৎস্যপণ্য অকুস্থলে (Place of Occurrence) জব্দ করিয়া উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকা জরিমানা করিতে পারিবেন অথবা অধ্যাদেশের ধারা ৫ ও ১০ অনুযায়ী উক্ত ব্যক্তির বিরম্নদ্ধে মামলা দায়ের করিতে পারিবেন। উক্ত জব্দকৃত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য বিধি ১৩ অনুসারে বিনষ্ট করা যাইবে।’’
  • বিধিমালার তফসিল-১৮ এর অনুচ্ছেদ-২ এ আছে ‘‘মৎস্যকে মানুষের খাবার অনুপযোগি করিয়া তুলিতে পারে এমন কোন অপদ্রব্য বা রাসায়নিক দ্রব্য বা ফরমালিন মৎস্যে মিশানো যাইবে না, যদি এই ধরণের কোন অপদ্রব্য মিশ্রিত পাওয়া যায়, তাহা হইলে বিধি-১৩ অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।’’

 
তথ্যসূত্র: DoF

Answer for ফরমালিনের অপব্যবহার রোধে প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধানসমূহ জানতে আগ্রহী