1 answer
আমাদের অধিকাংশ মৎস্য চাষি সম্পূরক খাবার হিসাবে প্রধানত সরিষার খৈল, চাউলের কুঁড়া ও গমের ভুসি ব্যবহার করে। এ ছাড়াও অনেক মাছচাষি এমন কিছু খাদ্য উপকরণ ব্যবহার করেন, যেগুলো আর্থিক ভাবে লাভজনক নয়, এমনকি সেগুলো অনেক সময় পুকুরের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হয়ে থাকে। যেমনঃ ধানের তুষ বা কুঁড়া মাছের ফুলকায় আটকিয়ে শ্বাসরোধ করে মাছের মৃত্যুর কারণ ঘটায়। খামারের নিজস্ব উদ্যোগে সম্পুরক খাদ্য প্রস্ত্তত করলে প্রজতিভিত্তিক খাদ্যের পুষ্টিগুণ বিচারে খাদ্য তৈরি করা উত্তম। পুকুরে সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগের উদ্দেশ্য হলো মাছের অধিক উৎপাদন নিশ্চিত করা। সে কারণে মাছের খাদ্য হিসাবে ব্যবহারের জন্য উপকরণ নির্বাচনের সময় বেশ কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত যা নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ-
- স্থানীয় ভাবে উপকরণসমূহের প্রাচুর্যতা
- উপকরণের পুষ্টিমান
- উপকরণের তুলনামূলক দাম
- মাছের খাদ্যাভ্যাস বা পুষ্টি চাহিদা
- চাষির আর্থিক সঙ্গতি
- উচ্চ খাদ্য পরিবর্তন হার
- উপকরণের আকার
- উপকরণ সংরক্ষণের মেয়াদ
তথ্যসূত্র: DoF, Bangladesh