মাছের সম্পূরক খাদ্য প্রস্ত্ততে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের জন্য বিভিন্ন ধরনের খাদ্য উপকরণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। খাদ্যের এসব উপকরণ প্রধানত প্রাণিজাত এবং উদ্ভিদজাত উৎস থেকে পাওয়া যায়। আমাদের দেশে মাছের খাদ্য প্রস্ত্ততে বহুলভাবে ব্যবহৃত চালের মিহিকুড়া, গমের ভুসি, চালের খুদ, আটা, সরিষার খৈল, তিলের খৈল, সোয়াবিন মিল, ভুট্টা চূর্ণ প্রভৃতি উদ্ভিদজাত এবং ফিসমিল, মিট এন্ড বোনমিল গবাদিপশুর রক্ত ইত্যাদি প্রাণিজাত উপকরণ। মাছের দেহ বৃদ্ধির জন্য আমিষের ভুমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য উপকরণের পুষ্টি উপাদান আমিষ; হজম প্রক্রিয়ায় ভেঙ্গে এ্যামাইনো এসিডে রূপান্তরিত হয়ে মাছের শরীরে শোষিত হয় এবং মাছের দেহ গঠনে ভূমিকা রাখে। সম্পূরক খাদ্যে প্রাণী ও উদ্ভিদ উভয় উৎস হতে আমিষ পাওয়া যায়। মাছের সম্পূরক খাদ্য তৈরির ক্ষেত্রে প্রাণিজ আমিষের ব্যবহার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রাণিজ আমিষে, আমিষের গুণগতমান ভাল হয়ে থাকে, প্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় এ্যামাইনো এসিডসমূহ বিদ্যমান থাকে এবং সহজেই হজম হয়। অপরদিকে উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত আমিষের পরিমাণ খুবই কম। বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, প্রাণী ও উদ্ভিদজাত আমিষের সংমিশ্রণে তৈরি খাদ্য অধিকতর উত্তম। মাছের খাদ্যে আমিষের পাশাপাশি পরিমাণমত শর্করা, চর্বি বা ফ্যাট, ভিটামিন ও খনিজ জাতীয় পুষ্টি উপাদান পরিমাণ মত অবশ্যই থাকতে হবে। সাধারণতঃ শিং ও মাগুর মাছ চাষে ৩০-৩৫% আমিষ সমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন। কারণ শিং ও মাগুর মাছ এই ধরনের খাবার খেতে খুব পছন্দ করে।
Answer for শিং ও মাগুর মাছ কোন ধরনের খাবার খেতে খুব পছন্দ করে?