বাংলাদেশ বৈচিত্র্যময় জলজ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। সুদুর অতীত থেকেই এদেশের প্রাকৃতিক জলাশয়ে খাপ খেয়ে টিকে আছে বহু প্রজাতির মৎস্যকূল। আর তাই আবহমানকাল থেকেই এদেশের নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর-দিঘি এবং প্লাবনভূমিতে দেশীয় প্রজাতির অসংখ্য মাছের সাথে কৈ, শিং ও মাগুর মাছ প্রাকৃতিকভাবে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত। কিন্তু কালের বিবর্তনে পরিবেশগত কারণে, আবাসস্থল সংকোচন, বাড়তি জনসংখ্যার জন্য অধিক আহরণ, অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, জলাশয় ভরাট, জলাশয় সম্পূর্ণ সেচে মাছ আহরণ, মাছের ক্ষতরোগ, ক্ষতিকর জাল (কারেন্ট জাল) ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি দ্বারা মাছ আহরণ এবং সর্বোপরি কৃষিজমিতে কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে দেশীয় প্রজাতির অন্যান্য মাছের সাথে কৈ, শিং ও মাগুর মাছও আজ প্রায় বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ মুহুর্তে আবাসস্থলের অবক্ষয়রোধ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারলে অন্যান্য দেশীয় প্রজাতীর মাছের সাথে এসব মাছও একসময় হারিয়ে যাবে।
 
তথ্যসূত্র: DoF

Answer for কৈ, শিং ও মাগুর মাছের প্রাচুর্য্যতা হ্রাসের কারণ কি?