গুলশা মাছের শ্রেণীবিন্যাস (Classification)
                     Phylum – Chordata
                         Class- Osteichthyes
                              Order- Cypriniformes
                                    Family- Bagridae
                                          Genus- Mystus
                                               Species- M. cavasius
 
স্থানীয় নাম: গুলশা
ইংরেজী নাম: Catfish
 
বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য
গুলশা মাছের দেহ চাপানো এবং পিঠের অংশ বাঁকা। এ মাছের মুখ বেশ ছোট ও উপরের চোয়াল সামান্য বড়। পৃষ্ঠ ও কানকো পাখনা লম্বা কাঁটাযুক্ত। কানকো পাখনার ডানা করাতের ন্যায় খাঁজকাটা। লেজের ডানা কাঁটাযুক্ত, শরীরের রং জলপাই ধূসর, নিচের দিকে কিছুটা হালকা। শিরদাঁড়া রেখা বরাবর নীলাভ ডোরা দেখা যায়। এ মাছের দৈর্ঘ্য ১৫-২৩ সেমি. হয়ে থাকে। স্ত্রী মাছ পুরুষ মাছের তুলনায় বড় হয়ে থাকে। একক ও মিশ্র পদ্ধতিতে এ মাছ চাষ করা যায়।
 
আবাসস্থল
গুলশা বাংলাদেশের সর্বত্র নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-দীঘি, হাওর, ধানক্ষেত, বর্ষায় প্লাবিত ভূমিতে পাওয়া যায়।
 
খাদ্য ও খাদ্যাভ্যাস
গুলশা মাছ জীবন চক্রের বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ধরণের খাদ্য খেয়ে থাকে। যেমন-

  • পোনা পর্যায়ঃ জু-প্ল্যাঙ্কটন ও প্রোটোজোয়া।
  • জুভেনাইল পর্যায়ঃ জুপ্ল্যাঙ্কটন ও ক্ষুদ্র জলজ পোকা, মশার লার্ভি এবং পঁচা জৈব পদার্থ।
  • বয়োপ্রাপ্ত অবস্থায়ঃ প্লাঙ্কটন, ছোট জলজ পোকা, কেঁচো,এবং পঁচা জৈব পদার্থ ইত্যাদি।
  • চাষ পুকুরে সম্পুরক খাদ্য হিসাবে সরিষার খৈল ও ফিশ মিল দেয়া যায়।

 
পরিপক্কতা ও প্রজনন
গুলশা মাছ প্রথম বছরেই পরিপক্কতা লাভ করে এবং বছরে একবার প্রজনন করে থাকে। এ মাছের প্রজনন মৌসুম হলো জুন থেকে সেপ্টেম্বর। তবে জলাই এবং আগষ্ট মাসে সর্বোচ্চ প্রজনন হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক ভাবে গুলশা মাছ সাধারণত হাওর, বিল, ধানক্ষেত ও বন্যা প্লাবিত জলাশয়ে প্রজনন করে থাকে। বর্তমানে প্রণোদিত প্রজননের মাধ্যমেও পোনা উৎপাদিত হচ্ছে। নিষিক্ত ডিমগুলো সাগু দানার মত আঠালো এবং ক্রীম বর্ণের হয়ে থাকে। একটি ২৮-৫২ গ্রাম ওজনের গুলশা মাছের ডিম ধারণ ক্ষমতা ৬,০০০ থেকে ২২,০০০টি।
 
তথ্যসূত্র: DoF, Bangladesh

Answer for গুলশা মাছের আবাসস্থল ও খাদ্যাভ্যাস জাতে আগ্রহী