কোন নির্দিষ্ট একটি প্রজাতির অন্তর্ভূক্ত স্ত্রী ও পুরুষ সদস্যের মধ্যে পার্থক্যসূচক শারীরিক এবং/অথবা আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপস্থিতিই হচ্ছে ঐ প্রজাতির যৌন দ্বিরূপতা (Sexual dimorphism)। একই প্রজাতির স্ত্রী ও পুরুষ সদস্যদের মধ্যে এমন পার্থক্যসূচক বৈশিষ্ট্যের উপস্থিতির কারণে উভয়ের মধ্যে সহজেই পার্থক্য নির্ণয় করা যায়।
সাধারণত স্ত্রী ও পুরুষের মধ্যে প্রধান পার্থক্যটি হল উভয়ের যৌনাঙ্গের বিভিন্নতা। এছাড়াও দেহের বর্ণ, আকার-আকৃতি, গঠন ইত্যাদি এবং অভ্যাস বা আচরণগত পার্থক্য যৌন দ্বিরূপতা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। সহজ কথায় যেসব বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে কোন প্রজাতির স্ত্রী ও পুরুষ সদস্যকে আলাদা করা যায় সেসব বৈশিষ্ট্যকেই সম্মিলিতভাবে যৌন-দ্বিরূপতা বলে। পৃথিবীর বেশিরভাগ প্রাণীদের মধ্যেই কমবেশী যৌন দ্বিরূপতা দেখতে পাওয়া যায়।
প্রধানত দুটি কারণে যৌন দ্বিরূপতা দেখতে পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। যথা –
- বিপরীত লিঙ্গের প্রাণীকে আকৃষ্ট করা। যেমন- পুরুষ মাছেরা স্ত্রীদের তুলনায় অনেক বর্ণিল ও উজ্জ্বল হয়ে থাকে (বিশেষত প্রজনন ঋতুতে)।
- প্রতিরক্ষা। যেমন – পুরুষ বেবুনের বড় দেহ ও শ্বদন্ত।