প্রথম বছরেই কৈ মাছ পরিপক্বতা লাভ করে এবং সর্বোচ্চ ১৭ সেমি. লম্বা হয়। এক বছরেই এরা প্রজননক্ষম হয় এবং বছরে একবার প্রজনন করে থাকে। কৈ মাছের উপযুক্ত প্রজননকাল হল এপ্রিল থেকে জুলাই মাস। তবে এ মাছ মার্চ মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রজনন সম্পন্ন করে থাকে। প্রজনন শুরুর পূর্বে বর্ষায় বৃষ্টি নামলেই এদেরকে প্রজননের জন্য অভিপ্রায়ণ করতে দেখা যায়। প্রজননের জন্য কই মাছ ধানক্ষেত, ডোবা, পকুর-নালা, খাল-বিল ইত্যাদি স্থানে চলে যায়। সাধারণতঃ এরা যে জায়গায় থাকে সে জায়গায় প্রজনন করে না। তাই প্রজননকালে অভিপ্রায়ণের মাধ্যমে স্থান বদল করে নেয়। অতঃপর এরা নতুন স্থানে এসে ঝোঁপ-ঝাড়জাতীয় উদ্ভিদের মধ্যে আশ্রয় নিয়ে ডিম ছাড়ে ও প্রজনন সম্পন্ন করে থাকে। এদের ডিম ভাসমান। তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে ১৮-২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিষিক্ত ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। উক্ত বাচ্চা/রেণু পোনার কুসুমথলি ২/৩ দিনের মধ্যে ক্রমে ক্রমে শেষ হলে আস্তে আস্তে প্রাকৃতিক খাদ্য গ্রহণ করে এবং ক্রমান্বয়ে বড় হয়। উলে¬খ্য যে, হরমোন ইনজেকশনের মাধ্যমে কৃত্রিম উপায়েও এদেরকে প্রজনন করানো যায়। তুলনামূলকভাবে ‘থাই কৈ’ মাছ ‘দেশী কৈ’ মাছের তুলনায় অনেক কম অভিপ্রায়ণশীল মনোভাব প্রদর্শন করে। শুধু পেটে ডিম আসার পর প্রজনন মৌসুমে ‘থাই কৈ’ কিছুটা অভিপ্রায়ণশীল মনোভাব প্রদর্শন করে থাকে।

পুরুষ কৈ মাছের তুলনায় স্ত্রী কৈ মাছ আকারে কিছুটা বড় হয়। একটি ৮০-১০০ গ্রাম ওজনের কৈ মাছের ডিম ধারণক্ষমতা ৬,০০০- ৮,০০০ এর মধ্যে হয়ে থাকে।
 
তথ্যসূত্র: DoF

Answer for কৈ মাছের প্রজনন জীবতত্ত্ব সম্পর্ক জানতে চাই