চুনের বিকল্প হিসেবে ডলোমাইট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কোন জলাশয়ে হেক্টর প্রতি ২০০-২৫০ কেজি চুন প্রয়োগের প্রয়োজন হলে ডলোমাইট প্রয়োজন হয় ৫০-৬০ কেজি। ডলোমাইট সরাসরি মাছের উপকারে আসেনা তবে মাছচাষের পুকুরের পানির গুণাগুণ ভাল রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে। ডলোমাই মাছের খাবারের সাথে ব্যবহার করার কোন উদাহরণ পাওযা যায় না।
 মাছচাষে চুন/ডলোমাইট/জিপসাম প্রয়োগের ভূমিকা:
  
- পিএইচ (pH) এর সমতা রাখে ।
 - পুকুরের প্রাথমিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও সক্রিয় করার জন্য চুন কার্বন-ডাই-অক্সাইড এর সাথে বিক্রিয়া করে ক্যালসিয়াম বাইকার্বনেট তৈরী করে যা পানিতে সালোকসংশ্লেষন প্রক্রিয়া চালু রাখে।
 - চুন পুকুরের তলদেশের জৈব ও বর্জ্য পদার্থকে পচাতে সাহায্য করে ফলে নাইট্রোজেনের পরিমান বেড়ে যায় যা মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনতে প্রভাবিত করে।
 - মাটির পুষ্টিকারক পদার্থ পানিতে মিশিয়ে মাছের খাবার তৈরীতে সাহায্য করে।
 - চুন প্রয়োগে তলদেশের পরজীবি ও ক্ষতিকারক অনুজীব ধংস হয় ।
 - পানির ঘোলাত্ব দুরীকরণ ও পানি পরিশোধনের কাজ করে।
 - লেজ ও পাখনা পচা রোগ ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়।
 
 
 চুনের প্রকারভেদ ও প্রয়োগ মাত্রা
 চুনের প্রধান উপাদান হলো ক্যালসিয়াম। বাজারে প্রচলিত চুন নিম্নরূপে পাওয়া যায়,  যেমন- পোড়া চুন (CaO), পাথুরে চুন (CaCO3), কলিচুন (Ca(OH)2), জিপসাম (CaSO4, 2H2O), ডলোমাইট (CaMg(CO3)2)। পুকুর শুকিয়ে বা পানিতে সাধারনত শতাংশে ১ কেজি (হেক্টর প্রতি ২৪৭ কেজি) হারে পাথর চুন দেওয়া হয়। 
 তবে চুনের প্রয়োগ মাত্রা পানির পিএইচ (pH) এর উপর নির্ভরশীল, যেমন-
 pH-এর মান        পাথুরে চুন (কেজি/শতাংশ)
 ৩ – ৫ এর মধ্যে          ১২
 ৫ – ৬ এর মধ্যে          ৮
 ৬ – ৭ এর মধ্যে          ৪
  
 পানির pH ৭ এর কম হলে পাথুরে চুন এবং ডলোমাইট এবং pH ৭ এর বেশী হলে জিপসাম ব্যবহার করা ভাল।
 জিপসাম কাদাজনিত ঘোলাত্ব কমাতে অধিক ফলপ্রসূ।
  
 তথ্যসূত্র:
 ড. মোস্তফা আলী রেজা হোসেন, ড. মোঃ শাহাআলী, ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ড. মোঃ আব্দুল ওহাব, ড. মোঃ সাইফুদ্দিন শাহ্ (২০১১) থাই পাংগাস মাছের পোনা উৎপাদনে হ্যাচারী ও চাষ ব্যবস্থাপনা। বাংলাদেশ ফিসারিজ রিসার্চ ফোরাম, ইনোভিশন কনসালটিং প্রাইভেট লিমিটেড, ক্যাটালিষ্ট। ঢাকা, বাংলাদেশ।
 https://answer.bdfish.org/question/থাই-পাংগাস-মাছের-পোনা-উৎপ/
  
  
  
