নদীর পোনা:

  • সুবিধা:
    • প্রাকৃতিক পরিবেশে মাছের প্রজনন ঘটে বলে স্বাভাবিকভাবেই নদী থেকে প্রাপ্ত পোনার মান ভালো হয়। অর্থাৎ এদের বৃদ্ধি ও বেঁচে থাকার হার বেশী।
    • নদীর মাছের আউটব্রিডিং এর সম্ভাবনা অনেক বেশী বলে এদের পোনার জৈবিক বৈচিত্র্যতা বেশী হয় যার ফলে এদের বৃদ্ধি হ্রাসের কারণ ঘটেনা।
  • অসুবিধা: 
    • বিভিন্ন প্রজাতির পোনা একই জালে ধরা পড়ে বলে তা প্রজাতি অনুযায়ী বাছাই করা সব সময় সম্ভব হয়না। ফলে সুনির্দিষ্ট একটি প্রজাতির চাষের ক্ষেত্রে অন্য প্রজাতির মাছ মিশ্রিত হয়ে যেতে পারে।
    • যে কোন সময় যে কোন মাছের পোনা পাওয়া যায় না। অর্থাাৎ বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়েই কেবলমাত্র নদীর পোনা পাওয়া যায়।

 
হ্যাচারির পোনা:

  • সুবিধা:
    • অধিকাংশ মাছের পোনা প্রায় সারা বছর জুড়েই উৎপাদিত হয়। ফলে যে কোন সময়ই হ্যাচারির পোনা পাওয়া যায়।
    • হ্যাচারিতে কৃত্রিম পরিবেশে প্রজাতি অনুসারে আলাদা আলাদা ট্যাংকে পোনা উৎপাদন করা হয় বিধায় একাধিক প্রজাতির পোনা মিশ্রিত হওয়ার সুযোগ থাকেনা। ফলে একক চাষের ক্ষেত্রে অন্য প্রজাতির মাছ মিশ্রিত হয়ে যেতে পারেনা।
  • অসুবিধা: 
    • ব্রুড মাছের মান নিয়ন্ত্রণ না করলে (যেমন – যথাযথ পুষ্টি সরবরাহ ও বিশেষ যত্বে ব্রুড মাছ না পালন করলে, সঠিক বয়সের মাছ ব্রুড হিসেবে নির্বাচ না করলে, আবার নিকট সম্পর্কযুক্ত মাছ ব্যবহারে ইনব্রিডিং এর সম্ভাবনা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হলে মান হ্রাস পায়) এমন ক্ষেত্রে হ্যাচারিতে উৎপাদিত পোনার মান অনেক সময়ই খারাপ হতে পারে।
    • হ্যাচারির ব্যবস্থাপনায় সতর্ক না হলে অনেক সময় অসাবধানতার কারণে সংকর জাতের পোনা উৎপাদিত হতে পারে যার বৃদ্ধির হার কম হয় আবার বাজারে গ্রহণযোগ্যতাও থাকেনা।

 

Answer for প্রাকৃতিক উৎস্য হতে প্রাপ্ত পোনা ও হ্যাচারীতে উৎপাদিত পোনার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জানতে চাই