রৈখিক (Striated) বা ঐচ্ছিক (Voluntary) পেশী:
নলাকার তথা সিলিন্ডার (Cylinder) আকৃতির কোষগুলো গুচ্ছাকারে অবস্থান করে এবং প্রতিটি গুচ্ছের চারপাশে যোজক কলার একটি আবরণ থাকে। প্রতিটি কোষ সারকোলেমা নামক আবরণে আবৃত আবৃত এবং আবরণের নিচেই অর্থাৎ কোষের পরিধীর দিকে কয়েকশ গোলাকার বা ডিম্বাকার নিউক্লিয়াই (নিউক্লিয়াসের বহুবচন) দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিটি কোষে লম্বালম্বিভাবে সূক্ষ্ম উপতন্তু তথা মাইয়োফাইব্রিল দেখতে পাওয়া যায়। কোষগুলির মাইয়োফাইব্রিলে কিছুদূর পর পর অনুপ্রস্থ রেখা বা দাগ দেখতে পাওয়া যায় (তাই একে রৈখিক বা চিহ্নিত পেশী বলা হয়)। মানুষের ঐচ্ছিক পেশী দৈর্ঘ্যে ১-৪ সেমি এবং ১০-৪০ মাইক্রন হয়ে থাকে।
অস্থির সংযোগস্থলে বেশী পাওয়া যায় বলে একে কংকাল পেশীও বলা হয়। এছাড়াও চোখ, জিহ্বা, গলবিল, উদরগাত্র ইত্যাদি অঙ্গে এ পেশী দেখতে পাওয়া যায়।
অস্থি সংলগ্ন এ পেশী কলার সংকোচন-প্রসারণে প্রাণীর নড়ন ও চলন সম্পন্ন হয়ে থাকে। এ পেশীর সংকোচন-প্রসারণ প্রাণীর ইচ্ছার উপরনির্ভরশীল বিধায় একে ঐচ্ছিক পেশী বলা হয়।
চিত্র:
কুইজ:
বিস্তারিত:
- গাজী আজমল ও গাজী আসমত, ১৯৯৮, উচ্চ মাধ্যমিক প্রাণিবিজ্ঞান, গাজী পাবলিশার্স, ঢাকা।
- http://bn.bdfish.org/2011/12/ভর্তি-কলা-পেশী-স্নায়ু/