প্রতিষেধক ও চিকিৎসা পোনা পরিবহন করে খামারে নেওয়ার পর পুকুরে ছাড়ার পূর্বে পোনা শোধন করে নিতে হবে এবং এতে পোনা সুস্থ থাকবে এবং রোগ বালাই এর সম্ভাবনা কমে যাবে। পোনা নিম্নরূপেভাবে শোধন করা যাবে:একটি বালতিতে ১০লিটার পানি নিয়ে এর মধ্যে ২০০ গ্রাম খাবার লবণ অথবা ১ চা চামচ ডাক্তারি পটাশ (KMno4) মিশাতে হবে;অতঃপর বালতির উপর একটি ঘন জাল রেখে তার মধ্যে প্রতিবার ২০০-৩০০টি পোনা ছাড়তে হবে;তারপর জাল ধরে পোনাগুলোকে বালতির পানিতে ৩০ সেকেন্ড গোসল করাতে হবে;এভাবে একবার তৈরি করা লবণ/পটাশের পানিতে ৫-৭ বার শোধন করা যাবে।
ডাক্তারি পটাশ বা লবণ পানি দিয়ে পোনা শোধন ছাড়াও এটিন্টবায়েটিক দিয়ে পোনাকে পুকুরে ছাড়ার সাথে সাথেই রোগমুক্ত বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, যেমন-
পুকুরে পোনা ছাড়ার পর Oxysaytin, Lenocide ইত্যাদি গ্রাম পজেটিভ, গ্রাম নেগেটিভ ব্যকটেরিয়া, ভাইরাস, ফ্যাংগাস, এ্যালজি ও প্রোটজোয়াজণিত মারাত্নক ক্ষতিকর রোগজীবাণুগুলোকে প্রতিরোধ ও নির্মূল করার জন্য ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া য়ায়। এছাড়াও বাজারে বিভিন্ন কোম্পানীর বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে পারে এমন ঔষধ পাওয়া যায়। যেমন-
- নাম: Lenocide লোরী/নাসারিাইড (তরল)
প্রয়োগ মাত্রা: ৫০০ মিলি/ ১০০ শতাংশ (যখন পানিরগভীরতা ২-৩ ফুট) ১০০০ সিসি /১০০ শতাংশ (যখন পানির গভীরতা ৫-৬ ফুট) - নাম: Oxysentin 20% (পাউডার)
প্রয়োগ মাত্রা: প্রতি ১০০ কেজি খাবারে ১০ দিন পর্যন্ত খাওয়াতে হবে। - নাম: Renamycin (পাউডার)
প্রয়োগ মাত্রা: ১ চা চামচ পাউডার প্রতি১০ কেজি খাবারে মিশিয়ে ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে।
তথ্যসূত্র: DoF