আমাদের অধিকাংশ মৎস্য চাষি সম্পূরক খাবার হিসেবে প্রধাণত সরিষার খৈল, চাউলের কুড়া ও গমের ভুঁসি ব্যবহার করে। এ ছাড়াও অনেক মাছ চাষি এমন কিছু খাদ্য উপকরণ ব্যবহার করেন যেগুলো আর্থিক ভাবে লাভজনক নয়, এমনকি সেগুলো অনেক সময় পুকুরের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হয়ে থাকে। যেমন অনেক মাছ চাষি খাদ্যের উপকরণ হিসেবে ধানের তুষকে খাদ্যে ব্যবহার করেন যার পুষ্টিগত কোন মূল্য নাই এবং পুকুরের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এসব বিষয় ছাড়াও দেশী শুটকি মাছের দ্বারা তৈরি ফিশমিল মাছের খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করার সময় অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে যে, শুটকি প্রস্ত্ততের সময় ক্ষতিকর ডিডিটি বা অন্য কোন ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে কিনা। কারণ এরূপ ক্ষতিকর কীটনাশক মিশ্রিত ফিশমিল দ্বারা খাদ্য প্রস্ত্তত করলে নার্সারি ও মজুদ পুকুরের শিং ও মাগুর মাছের ব্যাপক মড়ক দেখা দিতে পারে। পুকুরে সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগের উদ্দেশ্য হলো মাছের অধিক উৎপাদন নিশ্চিত করা। সে কারণে মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের জন্য উপকরণ নির্বাচনের সময় বেশ কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত যা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

  • স্থানীয় ভাবে উপকরণসমূহের প্রাচুর্যতা;
  • উপকরণের পুষ্টিমান;
  • উপকরণের মূল্য
  • মাছের খাদ্যাভ্যাস বা পুষ্টি চাহিদা;
  • চাষির আর্থিক সঙ্গতি;
  • উচ্চ খাদ্য পরিবর্তন হার;
  • উপকরণের আকার;
  • উপকরণ সংরক্ষণের মেয়াদ।

তথ্যসূত্র: DoF

Answer for মাছের খাবারের উপাদান নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয়াবলী কী কী?