খাদ্যের পুষ্টিমান নির্ধারণঃ
খাদ্য প্রস্ত্ততির জন্য নির্বাচিত উপকরণসমূহের পুষ্টি উপাদান আমিষ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যয়বহুল। এ জন্য মাছের খাদ্য তৈরির সময় শুধুমাত্র আমিষের মাত্রা হিসাব করা হয়। মাছের খাদ্যে আমিষের মাত্রা নিরুপণের জন্য কৌনিক সমীকরণ পদ্ধতি বহুল প্রচলিত। এই পদ্ধতিটি পিয়ারসন্স বর্গ পদ্ধতি (Pearson’s Square Method) নামে পরিচিত।
পিয়ারসন্স বর্গ পদ্ধতিঃ
ধরা যাক, ফিসমিলে ৬০% ও চালের কূঁড়া ৮% আমিষ আছে। এ দুইটি উপকরণ ব্যবহার করে খাদ্য তৈরি করতে হবে এবং প্রস্ত্ততকৃত খাদ্যে আমিষের মাত্রা হবে ৩০%। পিয়ারসন্স বর্গ পদ্ধতি ব্যবহার করে আমাদের ফিসমিল ও চালের কুঁড়ার অন্তর্ভূক্তির মাত্রা নির্নয় করতে হবে।
এই পদ্ধতিতে (চিত্রানুসারে) –
- প্রথমেই উপরের মত করে একটি বর্গ আঁকতে হবে এবং প্রত্যাশিত আমিষের মাত্রা (৩০%) বর্গের মাঝখানে লিখতে হবে।
- বর্গের বাম পার্শ্বে দু’টি উপকরণের নাম তাদের আমিষের মাত্রাসহ লিখতে হবে। যেমন- ফিসমিল ৬০% ও চালের কুঁড়া ৮%
- প্রত্যাশিত আমিষের মাত্রা থেকে উপকরণের আমিষের মাত্রা বিয়োগ করতে হবে এবং বিয়োগ ফল বর্গের উপকরণের বিপরীত কোণে অর্থাৎ বর্গের কর্ণের শেষে লিখতে হবে। যেমন- (৩০-৮) = ২২ ও (৩০-৬০) = – ৩০
- বিয়োগ ফল ঋনাত্মক হলে তা ধনাত্মক হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। যেমন, – ৩০ শুধুমাত্র ৩০ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে
- বর্গের ডানদিকে সংখ্যাগুলোকে যোগ করতে হবে। যেমন- ৩০+২২ = ৫২
- অতঃপর ডান দিকের যোগফল দিয়ে নিচের পদ্ধতি অনুসরন করে শতকরা হার বের করতে হবে।
এখানে ফিসমিল ও চালের কুঁড়ার অন্তর্ভূক্তির মাত্রা-
ফিসমিল = ২২/৫২ x১০০ = ৪২.৩১ % [এখানে, ৩০+২২=৫২]
চালের কুঁড়া = ৩০/৫২x১০০ = ৫৭.৬৯ % [এখানে, ৩০+২২=৫২]
অর্থাৎ ৩০ % আমিষ সমৃদ্ধ প্রতি ১০০ কেজি খাবার তৈরিতে ফিশমিল ৪২.৩১ কেজি এবং চালের কুঁড়া ৫৭.৬৯ কেজি মেশাতে হবে।
এখন, প্রত্যাশিত আমিষের মাত্রা সঠিক আছে কিনা, তা সহজেই যাচাই করে নেয়া যায়। যেমন-
চালের কুঁড়া থেকে প্রাপ্ত আমিষের পরিমাণ = ৫৭.৬৯ x ৮ / ১০০ = ৪.৬১ %
অর্থাৎ মোট আমিষের পরিমাণ = ২৫.৩৯ % + ৪.৬১ % = ৩০ %
—————————————–
তথ্যসূত্র: DoF, Bangladesh