ভেজাল এমওপি সার সনাক্তকরণের পদ্ধতি:
১। আধা চা চামচ এমওপি সার আধা গ্লাস পানিতে মিশালে সঠিক এমওপি সার সম্পুর্ণ দ্রবীভূত হয়ে পরিষ্কার দ্রবন তৈরি করবে। কিন্তু সারের নমুনায় কিছু অদ্রবনীয় বস্তু যেমন: বালি, কাঁচের গুড়া, মিহি সাদা পা্থর, ইটের গুড়া ইত্যাদি মেশালে তা তলানী আকারে গ্লাসের নীচে জমা হবে।
২। প্রকৃত এমওপি সার ঝুরঝুরে এবং হাত দিয়ে চাপ দিলে দলা বাধবে না।

৩। সারের নমুনায় অন্য কোন রং মিশালে পানির রং সেই অনুযায়ী হবে এবং রং ভেসে উঠবে এছাড়া হাতে রং লেগে যাবে। প্রকৃত এমওপি সারের দ্রবণটি স্বচ্ছ এবং হালকা লাল রং এর হবে এবং হাতের আঙ্গুল অথবা টিস্যু পেপার ডুবানো হলে হাতের আঙ্গুল অথবা টিস্যু পেোরে কোন রং লেগে থাকবে না।
৪। আধা গ্লাস পানিতে ৫ চা চামুচ পরিমান এমওপি সার গলিয়ে ৫ মিনিট পর গ্লাসের হাতে হাত দিলে খুব ঠান্ডা অনুভব হলে নমুনাটি প্রকৃত এমওপি সার, অন্যদিকে অধিক লবন বা ম্যাগনেসিয়াম সালফেট দিয়ে তৈরি ভেজাল এমওপি সারের পানির দ্রবণে কম ঠান্ডা অনুভব হবে।
৫। ২-৩ চা চামচ এমওপি সার খোল‍া অবস্থায় ১২-২৪ ঘন্টা বাতাসে রেখে দিলে যদি নমুনাটি ভিজে উঠে তবে ধারনা করা যেতে পারে যে নমুনাটিতে খাবার লবন মিশিয়ে ভেজাল দেয়া হয়েছে। খাবার লবন বাতাস থেকে জলীয় বাস্প শোষন করার ফলে গলে যায়। প্রকৃত এমওপি সার বাতাসে রাখলে ভিজে উঠবে না।

Answer for ভেজাল সার চেনার উপায় কি?