মৎস্য অভয়াশ্রমের প্রকারভেদ
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং জলাশয় ভেদে অভয়াশ্রম বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। যথা-
১। মৌসুমী অভয়াশ্রম
নির্দিষ্ট প্রজাতির মাছ বছরের নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট প্রজনন ক্ষেত্রে প্রজনন ঘটায় এবং নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিচরণ করে থাকে। তাই অবাধে প্রজনন ও বিচরণের লক্ষ্যে সে নির্দিষ্ট এলাকা বছরের নির্দিষ্ট সময়ে মাছের অভয়াশ্রম হিসাবে ঘোষণা করা হয়। যেমন- হালদা নদীর মদুনা ঘাট এলাকা, কাপ্তাই লেকের লংগদু ও বিলাই ছড়ি এলাকা।
২। সাংবাৎসরিক অভয়াশ্রম
জলাশয়ের কোন নির্দিষ্ট এলাকায় নির্দিষ্ট বছরের জন্য মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হলে তাকে সাংবাৎসরিক অভয়াশ্রম বলা হয়। বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে ও কিশোরগঞ্জ জেলায় অনেক হাওরের কোন কোন বিলে পাইল ফিশারী করে ২-৩ বছর অন্তর অন্তর মাছ ধরা হয়। এ পাইল ফিশারীকে প্রকারান্তরে সাংবাৎসরিক অভয়াশ্রম বলা যেতে পারে।
৩। দীর্ঘ মেয়াদী বা স্থায়ী অভয়াশ্রম
কোন কোন অঞ্চলে কোন নদী বা বিলের সম্পূর্ণ অংশে বা এর একটি সুনির্দিষ্ট এলাকা দীর্ঘ মেয়াদে বা স্থায়ীভাবে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। এরূপ এলাকাকে দীর্ঘ মেয়াদী বা স্থায়ী অভয়াশ্রম বলা হয়ে থাকে। মৎস্য অধিদপ্তরের ৪র্থ মৎস্য প্রকল্পের মাধ্যমে অনেকগুলো অভয়াশ্রম তৈরী করা হয়েছে, তার মধ্যে মেঘনা ব্লক-২ অভয়াশ্রম, পুরাতন ব্রম্মপুত্র নদ অভয়াশ্রম, আড়িয়াল খাঁ নদী অভয়াশ্রম উল্লেখযোগ্য।
তথ্যসূত্র: DoF, Bangaldesh
Answer for মৎস্য অভয়াশ্রম কত প্রকার ও কি কি?