পুকুরের পানিতে পলিকণার পরিমাণ বেশী হলে পানি ঘোলা হয়ে থাকে। পানি বেশি ঘোলা হলে কার্যকর সূর্যালোক পানির নির্দিষ্ট গভীরতা পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারে না। ফলে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য অর্থাৎ উদ্ভিদ-প্ল্যাংঙ্কটনের উৎপাদন কমে যায়। ঘোলা পানি মাছের খাদ্য চাহিদাকে প্রভাবিত করে। ঘোলা পানিতে দ্রবীভূত বিভিন্ন ধরনের কণা মাছের ফুলকায় আটকে থেকে ফুলকা বন্ধ করে দেয়। এতে মাছের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। ফলে মাছের খাদ্য চাহিদা হ্রাস পায়।
- প্রতি শতকে ১.০-১.৫ কেজি হারে জিপসাম প্রয়োগ করে পানির ঘোলাত্ব দূর করা যায় ;
- পুকুরের কোণায় খড়ের ছোট ছোট আটি রেখে দিলেও এক্ষেত্রে ভাল ফল পাওয়া য়ায়।
অন্যদিকে পানিতে ফাইটোপ্লাঙ্কটন ও জুপ্লাঙ্কটন বেশী হলে পানি স্বচ্ছতা হারায়। পানির স্বচ্ছতা সেক্কিডিক্স দিয়ে মাপা যায়। সেক্কিডিক্সের পাঠ ২৫ সেমি বা এর কাছাকাছি হলে পানিতে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য যথেষ্ট পরিমাণে আছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায় এবং পুকুরটি সর্বোচ্চ উৎপাদনক্ষম বলে বিবেচিত হয়। আবার পানির উপরের স্তরে অতিরিক্ত উদ্ভিদ-প্ল্যাংঙ্কটন উৎপাদনের ফলেও পানির একেবারেই অস্বচ্ছ হয়ে পড়ে এতে অক্সিজেনের অভাবে মাছের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়।
অতিরিক্ত উদ্ভিদ-প্ল্যাংঙ্কটন হলে উঠিয়ে ফলতে হবে। সিলভারকার্পের মজুদ বাড়াতে হবে।